ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

মাতামুহুরী নদীর চরে মাটি চাপায় হত্যার চেষ্টা, মৃত ভেবে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার

চকরিয়া সংবাদদাতা ::
চকরিয়ার মাতামুহুরী নদী চরের চিরিংগা পয়েন্ট থেকে মাটি চাপা অবস্থায় মৃত দেহ ভেবে স্থানীয়দের সহায়তায় একজনকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৭ মার্চ সকাল ৯টার দিকে উদ্ধার করলেও প্রায় ২ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের খাসপাড়া এলাকার মৃত খুইল্যা মিয়ার পুত্র মামুন উদ্দিন (৪২) তার সৎভাই সাদ্দামকে খারাপকাজে বাধা নিষেধ করায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তিন দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

প্রথম ঘটনা গত ২৫মার্চ কোনাখালী বাংলাবাজার এলাকায় মামুনের উপর হামলার পর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পরদিন ২৬মার্চ বিকাল ৫টায় ঢেমুশিয়া ছয়কুড়িটিক্কা পাড়া এলাকায় অভিযুক্ত সৎভাই সাদ্দাম, রিদুয়ান ও সৎভগ্নিপতি আবদুর রহিমের নেতৃত্বে ফের হামলা চালানো হয়। সেখান থেকেও তাকে উদ্ধার করে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সাদ্দামের শ্বাশুরকে ব্যবহার করে ২৭মার্চ রাত অনুমানিক ৩টার দিকে সুকৌশলে সরকারি হাসপাতাল থেকে জমজম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে হাসপাতালের সীট থেকে নামিয়ে ফেলে। রাত অনুমানিক ৩টার দিকে সরকারি হাসপাতাল সড়কের রাস্তার মাথায় নিয়ে আসার পর মামুনের হাতে চিকিৎসার জন্য নগদে ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি সিএনজি গাড়ীতে তুলেন। গাড়ীর ভেতরে ডাক্তারের কথা বলে ৩ মিনিটের ব্যবধানে ২টি চেতনানাশক ট্যাবলেট খাওয়ান মামুনকে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় মাতামুহুরী নদীর চরে চিরিংগা পয়েন্টে নিয়ে গিয়ে মাটির গর্ত করে হত্যা চেষ্টায় তাকে পুঁতে রেখে চলে আসে অভিযুক্তরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এদিন সকাল অনুমানিক ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন মাটির উঁচু অবস্থা দেখে মাটি খুঁড়ে দেখেন মাটি চাপা ব্যক্তির দেহ। পরে স্থানীয় পৌর ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে মৃত দেহ ভেবে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে একটি ভ্যান গাড়ীতে করে থানায় নিয়ে যান। থানায় দায়িত্বরত উপপরিদর্শক প্রিয় লাল ঘোষ মৃত ব্যক্তি ভেবে সুরতহাল তৈরীকালে জ্ঞান ফিরেন এবং জরুরী ভিত্তিতে পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

জানতে চাইলে এসআই প্রিয়লাল ঘোষ জানান, পুলিশ বিষয়টি অবগত হওয়ার পর গুরুত্ব সহকারে দেখেছেন। মৃত লাশ ভেবে উদ্ধার হলেও জ্ঞান ফিরে আসায় হাসপাতালে ভর্তি করান। তবে ঘটনার মধ্যে কিছুটা রহস্য দেখছেন বলে মনে করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: